চন্দ্রগ্রহণের সময় করণীয় আমল:
1. সালাতুল কুসূফ (ছালাতুল খসুফ)
- চন্দ্রগ্রহণের সময় দুই রাকাআত বিশেষ নামাজ পড়া সুন্নত।
- একে বলা হয় "ছালাতুল খসুফ" (চন্দ্রগ্রহণের নামাজ)।
- এটি জামাতে পড়া যায়, তবে একাকী পড়লেও জায়েয।
2. ইস্তিগফার করা (তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা)
- চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন।
- বেশি বেশি করে "আস্তাগফিরুল্লাহ" বলা এবং তাওবা করা উত্তম।
3. দোয়া ও কান্নাকাটি করা
- এই সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
- আল্লাহর কাছে নিজের গোনাহের জন্য কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাওয়া শ্রেষ্ঠ আমল।
4. সদকা (দান) করা
- সাহাবায়ে কেরামরা চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় সদকা করতেন।
- যাদের সামর্থ্য আছে তারা গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়াতে পারেন।
5. আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত
- এই সময়ে নফল নামাজ, জিকির, তাসবিহ, এবং কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন থাকা উচিত।
6. বিতর্ক, হাসি-ঠাট্টা ও অবহেলা থেকে বিরত থাকা
- চন্দ্রগ্রহণের সময় গম্ভীর ও বিনয়ী আচরণ করা উত্তম।
---
হাদিস থেকে প্রমাণ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। এগুলোর গ্রহণ কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। সুতরাং যখন তোমরা এটি (গ্রহণ) দেখো, তখন নামাজ পড়ো এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করো।"
— (সহীহ বুখারী, হাদিস: ১০৪৪)
---
সংক্ষেপে করণীয়:
- দুই রাকাআত নামাজ (ছালাতুল খসুফ)
- দোয়া ও ইস্তিগফার
- দান-সদকা
- কুরআন তিলাওয়াত
- বেশি বেশি জিকির
- বিনয় ও গাম্ভীর্য বজায় রাখা
---
নোট: চন্দ্রগ্রহণের নামাজের জন্য আজান বা ইকামত নেই। সূর্যগ্রহণ হলে জোরে কিরাত, আর চন্দ্রগ্রহণ হলে নিচু আওয়াজে কিরাত পড়া হয়।
---
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর নিদর্শন দেখে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন।
www.somoyerprothomsangbad.com ইমেইল: samoyerprothomsongbad@gmail.com
ফোন- 09638147304 - মোবাইল: +৮৮ ০১৫১১-১২৯১০৩, বিজ্ঞাপনের জন্য কল করুনঃ +88 01618129103
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত